শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি।।
চরফ্যাশন উপজেলার চরকলমী ইউনিয়ন আনসার বিডিপির দল নেতা হিসাবে বাবুল হোসেনকে জাল সনদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) চরকলমী গ্রামের খায়রুল ইসলাম নামে জনৈক ব্যক্তি আনসার ও প্রতিরক্ষা বাহিনী ঢাকা বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন। অনুলিপিও বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরকলমীর মো. হেলাল উদ্দিনের পুত্র মো. বাবুল হোসেন আঞ্জুরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস এসসি পাশ দেখানো হয়েছে। তিনি ২০১০সালের বিজ্ঞান বিভাগ দিয়ে বিশেষ পাশ সনদে উল্লেখ থাকলেও দেখা যায় তার ফলাফলে পাশের সন রয়েছে ২০০০সাল। প্রদশিত মূল সনদে শিক্ষাবর্ষ ২০০৭/-০৮ এবং অনলাইনে প্রদশিত নাম্বার ফর্দে সেশন ১৯৯৭-৯৮ইং। রোলনং ৯০৬৬০৯। ওই সালে আঞ্জুর হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধিনে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করা হয়েছে। বাবুলের সনদে রয়েছে যশোর শিক্ষাবোর্ড।
এস এসসির সনদ অনুযায়ী জম্ম তারিখ ৬ জানুয়ারী/১৯৮৪ হলেও জাতীয় পরিচয় পত্রে রয়েছে ৬ জানুয়ারী/ ১৯৯৪ইং। জাতীয় পরিচয়পত্র ও এস এসসির সনদে জাল জালিয়াতির অভিযোগ থাকা সত্বেও ভোলা জেলা কমান্ডার এই মো. বাবুল হোসেনকে আনসার বিডিপির চরকলমী ইউনিয়ন দল নেতা হিসাবে উপজেলা আনসার ও বিডিপি কমান্ডারকে নিয়োগ দিয়ে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দুলারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হোসেন বিপ্লব বলেন, ২০১০সালে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ৮ম ও এসএসসি শিক্ষার্থীগন পরীক্ষা দিয়েছেন। সনদে যশোর শিক্ষা বোর্ড উল্লেখ থাকার প্রশ্নই আসেনা। এই ব্যপারে মো, বাবুল হোসেন বলেন, আমার এসএসসির সনদ জাল নয়। বয়স কমাতে গিয়ে ভূল হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা আনসার ও বিডিপি কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। আমার পূর্বের অফিসার প্রশিক্ষণের জন্যে পাঠিয়েছি সে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।
ভোলা জেলা কমান্ডার মো. আহসান উল্লাহ বলেন, বাবুলের পিতা সাবেক ইউনিয়ন আনসার ও বিডিপির টিম লিডাল ছিল। পোষ্য কোটায় ওর জন্যে এই নিয়ম শিথিল।